শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

শিশুরা এ বোঝা আর কতদিন বইবে?



শিশুরা এ বোঝা আর কতদিন বইবে?
 
প্রতীকি ছবি-সংগ্রহ





এইচ আর রাসলে : যখন বলা হয় শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, তখন এ কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন এমন কাউকে পাওয়া যাবে না। তেমনি করে যখন বলা হয় শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার। শিশুরাই আগামী দিনের পথপ্রদর্শক তখনও এ কথার বিরোধিতা করবেন এমন লোক নেই। তাহলে জাতির মেরুদন্ড ‘শিক্ষা’ গ্রহণ করতে গিয়ে জাতির ভবিষ্যৎ শিশুদের মেরুদন্ডকে কেন ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে? কেন শিশুর প্রায় সমপরিমাণ ওজনের স্কুল ব্যাগ তুলে দেওয়া হচ্ছে তাদের কোমল কাঁধে? এর জবাব আমরা অনেকেই  জানি ।এর ক্ষতিকর দিকটাও সবার জানা। তারপরেও সকলের চোখের সামনে এই অমানবিক আচরণ চলছে অবলীলায় উৎসবের সাথে! এ দেশের আদালত শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ওজনের স্কুলব্যাগ বহন নিষিদ্ধ করে আইন প্রয়োগ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে সে রুলের আর কোনো সুরাহা আমরা দেখতে পাইনি। ফলে অভিভাবক, শিক্ষক, সুশীল সমাজ, প্রশাসন সকলের সামনে দিয়েই কোমলমতি শিশুরা তাদের ওজনের প্রায় সমপরিমাণ স্কুল ব্যাগ বহন করতে গিয়ে শারীরিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়ছে। তাদের মেরুদন্ডের হাড় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পিঠে, পায়ে ব্যথা সহ্য করছে। শারীরিক দূর্বলতা নিয়ে ধুকে ধুকে বড় হচ্ছে আমাদের আগামী প্রজন্ম।

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের কিন্ডারগার্টেনসহ সরকারি বেসরকারি স্কুলগুলোর দৃশ্য প্রায় একই রকম। কাকডাকা ভোরে ঘুম ঘুম চোখে সামর্থ্যরে বাইরের এক বোঝা বইয়ের ব্যাগ নিয়ে কুাঁজো হয়ে হেঁটে যাচ্ছে সন্তান। পিছনে নিরুপায় অভিভাবক মাঝে মাঝে নিজেই তুলে নিচ্ছেন ব্যাগ সন্তানকে কিছুটা বিশ্রাম দেওয়ার জন্য। স্কুলে যাওয়ার সময় একবার এবং স্কুল ছুটির পর আরেকবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরকে স্কুল ব্যাগের এই অতিরিক্ত বোঝা বইতে হচ্ছে বাধ্য হয়েই। তারপর কোচিং ও শিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়া আসার সময়ও এই শ্রম দিতে হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

ঢাকাসহ সারাাদেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়  প্লে, নার্সারি, কেজি শ্রেণির শিশুদের জন্য বাংলা বর্ণ পরিচয়, বাংলা ছড়া, ব্যাকরণ, ইংরেজি বর্ণ পরিচয়, রাইমস, গ্রামার, অ্যাক্টিভ ইংলিশ, ওয়ার্ড বুক, সাধারণ জ্ঞান, ছবি আঁকাসহ ১০ থেকে ১৫টি বই তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। এছাড়াও তাদের ডায়েরি, খাতা –কলম, পেন্সিল বক্স, পানির ফ্লাক্সতো আছেই। ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য সরকার নির্ধারিত বাংলা, অংক ও ইংরেজি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হলেও তাদেরও রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির ধরিয়ে দেওয়া প্রায় ১৫টি বই।  তেমিনভাবে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত ৬টি বইয়ের বাইরে রয়েছে গ্রামার, ব্যাকরণ, নোট-গাইডসহ অন্যান্য বেশ কিছু ভারী ওজনের বই যা বহন করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তারা দিন দিন দূর্বল হয়ে পড়ছে আর পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। খেলাধুলা বিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও সময় না পাওয়ায় জীবন হয়ে যাচ্ছে রোবটের মতো অনেকটাই যান্ত্রিক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শিশুদের প্রতি কেন এ নির্মমতা? হেসে খেলে যাদের শৈশব পার হওয়ার কথা কুলির মতো কেন তাদের পাহাড়সম বইয়ের বোঝা বইতে হয়? কাদের স্বার্থে এই অনিয়ম? এটা আমরা সবাই জানি। এক শ্রেণির পুস্তক ব্যবসায়ী, প্রশাসনের কিছু সুবিধাবাদী আমলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু লোভী শিক্ষক, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির কিছু বিবেকহীন প্রাণীর স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়েই কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি এই নির্দয় আচরণ। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে তৈরি হয় বিভিন্ন কোম্পানির বই। তারপর শিক্ষক , সমিতি কিংবা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাথে লিয়াজো করে , ডোনেশনের মাধ্যমে কিংবা বিভিন্ন উপায়ে সেগুলো পাঠ্য হয় স্কুল,কিন্ডারগার্টেনে। অতঃপর স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের হাতে ধরিয়ে দেন ফরমায়েশি ‘বুক লিস্ট’। সেই বুক লিস্ট ধরে একান্ত অনুগত ছাত্রের মতো বই কিনে নিয়ে আসেন অভিভাবকবৃন্দ। সেক্ষেত্রে দাম যতই হোক তাকে বুক লিস্ট ধরেই বই কিনতে হয়।   কেননা অভিযোগ আছে অন্য বই থেকে উত্তর লিখলে শিক্ষকরা নম্বরও দেন না। এমনি করেই নিজেদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন, স্বাস্থ্য আর নির্মল শৈশব নিয়ে ছিনিমিনি খেলছি আমরা কতিপয় স্বার্থবাজ।


বাসে এ আচরণগুলো আপনিও করেন কি?


বাসে এ আচরণগুলো আপনিও করেন কি?


এইচ আর রাসেল : আমাদের নিত্যদিনের জীবনযাপনে একটা অপরিহার্য প্রয়োজন হচ্ছে পরিবহন। জীবন জিবিকার তাগিদে আমাদের প্রতিদিনই কর্মক্ষেত্রে যেতে হয়। সেই কর্মক্ষেত্রটা হতে পারে কারও অফিস, কারও নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। বাসার কাছের স্কুল ছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাও তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পরিবহন ব্যবহার করেন। তাছাড়া আত্মাীয় স্বজনের বাসায় , হসপিটাল কিংবা বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করতে আমরা পরিবহনের দ্বারস্থ হই। অর্থাৎ পরিবহন ছাড়া আমাদের জীবনযাপন বিশেষ করে শহুরে জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব।

এই পরিবহনে চলে নানা ধরনের নৈরাজ্য। ভাড়া বেশি নেওয়া, সিটিং গাড়িতে দাঁড়িয়ে লোক নেওয়া, যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে লোক উঠানো, ট্রাফিক আইন না মানা, অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালানো ইত্যাদি নানা রকমের অভিযোগ পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পুরানো। আর এসব বিষয় নিয়ে মিডিয়াতে বিস্তর প্রতিবেদন, লেখালেখি, টকশোতে গরম গরম আলোচনা সমালোচনা, মানবন্ধন, মিছিল, সমাবেশ হরহামেশাই হয়।   সে বিষয়গুলো নিয়ে আমি অন্য লেখায় আলোচনা করেছি। কিন্তু আজ আমার আলোচনার বিষয় আমরা যারা পরিবহনের যাত্রী তাদের নিয়ে।

পরিবহনে তথা বাসে আমরা যখন যাতায়াত করি তখন বাসের স্টাফদের সাথে আমাদের দু-চার কথা বিনিময় করতে হয়। আর এই দু-চার কথা বিনিময় করতে গিয়েই আমরা যেন খেই হারিয়ে ফেলি। হঠাৎ করেই যেন আমাদের আচরণে উগ্রতা এসে ভর করে। চলুন মিলিয়ে দেখি আমাদের কার কার মধ্যে এই অভ্যাসগুলো রয়েছে।

আমরা অনেকেই লোকাল বাসে উঠে ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলি ঐ ব্যাটা গাড়ি বাড়া। তগো হারা জীবনেও পেট ভরব না ব্যাটা, গাড়ি বারা। কেউ কেউ আবার কিছু খাস বাংলা ব্যবহার করেন...... পোলা গাড়ি বারা ইত্যাদি’। স্বাভাবিকের চেয়ে যাত্রী বেশি উঠালে আমরা কেউ কেউ বলি কি রে ড্রাইভার তোর অয়নাই? আর কি তোর মাতায় লবি নাকি? শালারা তোরা জীবনেও মানুষ হবি না ইত্যাদি। গাড়ি যদি স্বাভাবিকের চাইতে একটু ধীর গতিতে চলে তবে আমরা কেউ কেউ বলি কিরে রিকসা চালাস নাকি? তোর পিছের গাড়ি আগে যায় কেমনে? ব্যাটা গাড়ি থুইয়া রিকসা চালাগা যা ’ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। আবার স্বাভাবিক গতির চেয়ে একটু বেশি গতিতে চললে আমরা কেউ কেউ বলি ঐ ব্যাটা গাড়ি কেমনে চালাছ, আস্তে চালা,গাঞ্জা খাইছস নাকি? কেউ কেউ বলি তোরতো জীবনের দাম নাই ব্যাটা আমগো জীবনের দাম আছে, আস্তে চালা ইত্যাদি। কন্ট্রাকটর যখন ভাড়া চাইতে এসে বলে ভাই ভাড়াডা দেনতো কিংবা মামা/স্যার ভাড়াডা লনতো। তখন আমরা দুএকজন বলি পরে ল। দ্বিতীয়বার চাইলে পরে কিছু ঐতিহ্যবাহী বাংলা গালি ঝেড়ে দিয়ে বলি ...কইছিনা পরে ল,থাপর মাইরা কানাপট্রি আওলাইয়া ফালামু ব্যাটা ইত্যাদি। ভাড়া দেওয়ার পরেও যদি ভুল করে কারও কাছে ভাড়া চাওয়া হয় তবে কন্ট্রাকটরের প্রতি তেড়ে গিয়ে বলি ব্যাটা ভাড়া যে নিয়া গেলি খবর নাই। এরই মধ্যে ভুইলা গেছস? যদিও এত মানুষের ভিড়ে এই বিষয়টা মনে রাখা কঠিন। এমনকি আমরা যারা রেগে গেলাম তারা এই দায়িত্বটা পালন করতে গেলেও এই ভুলটা আরও বেশি করতাম। আর অতিরিক্ত ভাড়া সংক্রান্ত কোনো ঝামেলা হলেতো কথাই নেই। হই হই রই রই করে চড়াও হয়ে যাই অসহায় কন্ট্রাকটরের ওপর। চড়, থাপ্পর, কিল, ঘুষি মেরে ওকে শায়েস্তা করি বীরের মতো।

আরও আছে ভাংতির অভাবে আমরা ভদ্রলোকেরা যখন কম দেই তখন বলি আর ভাংতি নেই যা। কিংবা বলি এক টাকা কম আছেরে মামা ল। কিন্তু একই কারণে কন্ট্রাকটর যখন আপনাকে এক টাকা কম দিতে চাইছেন তখনই আমরা ওর চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়ি এভাবে-পুরা টেকা দে ব্যাটা। কম দেস কেন? কম নিমু না কিংবা ঐ ব্যাটা এক টাকা কম দেস কেন? তগো এক টাকা কম দিলে ত লইবার চাস না। কিন্তু এক টাকা কমের জন্য কোনো কন্ট্রাকটর কাউকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে কিংবা দূর্ব্যবহার করেছে এমনটি আমার জানা নেই। বরং কারো কাছে টাকা না থাকলেও তারা যাত্রীকে যথাস্থানে নামিয়ে দিয়েছে এমন অনেক দেখেছি।

বাসে উঠানামা নিয়েও এক ধরনের দ্বৈতনীতি আছে আমাদের মধ্যে। যেমন ধরুন একটি সিটিং গাড়ি যারা দুচারজন দাঁড় করিয়ে লোক নেই। (যদিও এটা অপরাধ) । তারা যখন গেট লাগিয়ে দেয় তখন বাইরে থেকে কিছু যাত্রী উঠার জন্য দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন এবং জানালা দিয়ে কন্ট্রাকটার/ হেলপারকে কিছুটা নরম স্বরে অনুরুধ করেন এভাবে‘ একটু নিয়া যাওনা ভাই, আরে অনেকখন ধইরা গাড়ি পাইনা, দুইএকজন লওনা ভাই। আবার ঘটনাক্রমে একই ব্যক্তি যখন পরের দিন গাড়ির ভিতর থাকেন তখন তিনিই লোক উঠানো নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে পরিবহন স্টাফদের গালিগালাজ করেন। আরও আছে। লোকাল গাড়িতে কিছু লোক উঠেই সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন তারপর বলেন-এই মিয়া গাড়ি ছাড়ো আর যায়গা নাই। বাইরে থাকা যাত্রী কিংবা কন্ট্রাকটর তাকে পিছনে চাঁপতে বললেও তিনি চাঁপেন না। কিন্তু তিনিই যখন পরের দিন বাইরে থাকেন তখন তিনি খুব কষ্টের সাথে বলেন -শালার প্যাসেঞ্জাররাও খারাপ কম না। পিছে গাড়িডা খালি পইরা রইছে তাও পিছে যায়না। ঐ লোকগুলা চাঁপলেই কিন্তু আরো কয়ডা যাত্রী উঠতে পারতো। এদিকে কখনো কখনো এমন পরিস্থিতি হয় যে হাজার হাজার মানুষ বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তুু কোনো কারণে গাড়ি নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে কেউ কেউ রিকশা, সিএনজি,ভ্যান কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে অতিরিক্ত খরচ করে গন্তব্যে যান। পরিস্থিতি এমন যে বাড়তি টাকা লাগলেও যে কোনো উপায়ে বাসায় পোঁছানোটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। সেই মুহূর্তে কোনো একটা গাড়ি এসে যদি ৫ টাকা করে ভাড়া বেশি চায় তখন আমরা কেউ তা দিতে চাই না। উল্টো বাসের স্টাফদের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করি। বেশি চাহিদার বিপরীতে যোগান কম থাকলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায় এই আর্থিক বিষয়টি অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে আমরা মেনে নিলেও এখানে আমরা তা একেবারেই মানতে চাই না। আর এজন্য ওরাও অনেক সময় বাস খালি থাকলেও গেট বন্ধ রেখে বলে- যাব না।

এবার ভিন্নভাবে আপনাকে একটা প্রশ্ন করি । আপনি কি কখনো ভাবতে পারেন আপনি একটি বাসে বসে আছেন আর সেই বাসের কন্ট্রাকটার আপনাকে এসে বলছে ঐ ব্যাটা ভাড়া ল। কি অইল কথা কান দিয়া হান্দায় না? ভাড়া ল ব্যাটা। নিশ্চয়ই এমন কথা আপনি শুনলে সাথে সাথেই তাকে মেরে মাটিতে শুইয়ে দিবেন। আর এটাইতো স্বাভাবিক! আপনি আপনার গন্তব্যে যেতে তার গাড়ি ব্যবহার করছেন বিনিময়ে তাকে অর্থ দিচ্ছেন। আবার বাসের স্টাফ তার জীবিকা নির্বাহের জন্য আপনাকে একটি সার্ভিস দিয়ে টাকা নিচ্ছে। এখানে উভয়ের কাছেই উভয়ের প্রয়োজনটা বড়। তাহলে কেন শুধু একপক্ষ আরেক পক্ষের উপর এভাবে শারীরিক ও মানসিক জুলুম করবে? এখানে সুবিধা নিচ্ছেন দুইপক্ষ। কিন্তু গালিগালাজ সইছেন এক পক্ষ। কিন্তু কেন এই বিভাজন? তারা কি মানুষ নয় ? আজকাল আমরা সমাজের প্রতিষ্ঠিত চোর, বদমায়েশ, চাঁদাবাজদের সালাম দিই। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে ন্যূনতম সম্মানটুকু করতে পারি না। কেন গাড়িতে উঠলেই আমরা এভাবে বদলে যাই? বাসের ঐ হেল্পার, কন্ট্রাকটরটিই যখন অন্য একটি বাসের যাত্রী হয়ে আপনার পাশে বসে তখন আপনি কি তাকে তুই সম্বোধন করে কথা বলতেন। পরিবহন সেক্টরের মানুষগুলোকে একটু সম্মান দিয়ে একটু স্নেহ দিয়ে কথা বললে আমরা কি খুব ছোট হয়ে যাই? নিশ্চয়ই না। দেখুন বাসের কন্ট্রাকটার, হেল্পার, কিংবা ড্রাইভার যে পরিবেশে থাকে, যে সামাজিক আবহের মধ্যে তারা জীবনযাপন করেন, সারাদিন রোদে পুড়ে যে পরিশ্রম তারা করেন, তাদের পারিবারিক অবস্থান, শিক্ষা ও সংস্কৃতির যে শূণ্যতা সেসব কিছু বিবেচনায় আমাদের মানবিকতা, আমাদের আচরণগুলো আর একটু ভদ্রোচিত ও সামাজিক হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

এতক্ষণ আমি যে বিষয়ের দিকে আলোকপাত করলাম তার মূল কথা এই যে আমরা সমাজের তুলনামূলক ভদ্র ও শিক্ষিত দাবিদার কতিপয় বাসের যাত্রীরা প্রায়ই যে অনুচিত,শ্রুতি ও দৃষ্টিকটু আচরণগুলো বাসের মধ্যে করে থাকি তা থেকে আসুন আমরা বিরত হই। শুধু এইটুকু ভাবতে শিখি। এসব হেলপার, কন্ট্রাকটর ও ড্রাইভাররা আমাদেরই ভাই, সন্তান। ওরা এ সমাজেরই মানুষ। ওরা আমাদের থেকে একটু ভালো আচরণ প্রত্যাশা করতেই পারে।

নজরুল ছাড়া এত বিশেষণ আর কাউকে দেয়া যায় কী?



নজরুল ছাড়া এত বিশেষণ আর কাউকে দেওয়া যায় কি?



এইচ আর রাসেল : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন সাহিত্য জগতের নবাব হয়ে বিশ্বের মাঝে ছড়ি ঘুরাচ্ছেন। চারদিকে তার জয়জয়কার। তার সমসাময়িক লেখকেরা কমবেশি তারই ঘরানা অনুসরণ করে লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে কেউ একজন সম্পূর্ণ রবীন্দ্র বৃত্তের বাইরে গিয়ে নরম কোমল সাহিত্য জমিনে যেন বোমা ফাটাতে আরম্ভ করলেন। একের পর এক কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ লিখে সবার ঘুম হারাম করার যোগাড় প্রায়। সবার কৌতুহল পাহাড়সমান হয়ে উঠল। কে সেই নবাগত? রবীন্দ্রনাথের একচ্ছত্র রাজত্বে ভাগ বসানোর জন্য ঢং ঢং করে ঘন্টা বাজিয়ে এগিয়ে আসছে কে? সকলেই খোঁজ খবর করে দেখল একি! এ যে পুঁচকে ছেলের কান্ড! এই রোগামাটা শান্তশিষ্ট বালকের মাথায় সাহিত্যের পোকাটা ঢুকলো কীভাবে? কে সে? কী তার নাম? কীইবা তার পরিচয়? সকলেই তার পরিচয় জানল। তার নাম কাজী নজরুল ইসলাম। কখনো কুসুম কোমল, কখনো বজ্রকঠিন লেখার মাধ্যমে সকলকে তাক লাগিয়ে দেওয়া নজরুল।

নজরুলের কর্মজীবন (বাকশক্তি হারানোর আগ পর্যন্ত) পর্যালোচনা করলে আশ্চর্য না হয়ে উপায় নেই। একজন মানুষের চিন্তায় এত বৈচিত্রতা, এত ভিন্নতা, জীবনকে নিয়ে এত গভীর উপলব্ধি আর কারও লেখনিতে এত প্রকট হয়ে ফুটে উঠেনি। এতো বিশেষণ আর কোনো কবির ভাগ্যে জুটেনি।

ছোটদের জন্য তাঁর রচিত সংকল্প, প্রভাতী, খুকি ও কাঠবিড়ালী, চড়ুই পাখির ছানা, লিচু চোর ইত্যাদি রচনাগুলো পড়লে তাঁকে নিতান্তই শিশুদের কবি ছাড়া ভাবা যায় না। আবার ভাঙ্গার গান, ছাত্রদলের গান, রণসঙ্গীত- চল চল চল, কান্ডারি হুশিয়ার ইত্যাদি অসংখ্য রচনায় তাঁকে তারুণ্যের কবি বললেই যেন সঠিক বলা হয়। আবার যখন তার সাম্যের গান, মানুষ, সাম্যবাদী, কুলি ও মজুর, দারিদ্রসহ এমন আরও অসংখ্য রচনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় তখন আমরা তাঁকে সাম্যের কবি, মানবতার কবি ছাড়া আর কীইবা বলতে পারি? অন্যদিকে তার শিকল ভাঙ্গার গান, প্রলয়োল্লাস, কামাল পাশা, ভাঙ্গার গান, বিদ্রোহী ইত্যাদি খুরধার রচনা পাঠ করে তাকে বিদ্রোহের কবি বলবে না এমন সাধ্য কার?

তিনি শুধু শিশুদের কবি, সাম্যের কবি কিংবা তারুণের কবিই নয়। এমন রক্ত টগবগ করা বিদ্রোহীর মনে প্রেমও যে জেগেছিল! শুধু কি প্রেম? তাঁর মতো এমন গভীর প্রেমানুভূতির প্রকাশ বাংলা সাহিত্যে দেখাতে পেরেছে কজন বলুন! মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী, প্রিয় এমন রাত যেন যায়না বৃথায়, আলগা করোগো খোপার বাঁধন, আধখানা চাঁদ উঠিছে আকাশে আধখানা চাঁদ নিচে ইত্যাদি অসংখ্য প্রেমের গানের জনক যে আমাদের নজরুল! তার মানে তাঁকে আমরা প্রেমের কবিও বলতে পারি অনায়াসেই।

আচ্ছা এবার আসুন নজরুলের ধর্মদর্শনের দিকে। ধর্মদর্শনেও যেন নজরুল অদ্বিতীয়। কারণ ধর্মের গভীরে গিয়ে এর প্রকৃত মর্মবাণী উপলব্ধি করে ধর্মকে সকলের মাঝে নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছে এমন কবির সংখ্যা এদেশেতো বটেই পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। শোন শোন ইয়া ইলাহি আমার মুনাজাত, রোজ হাশরে আল্লাহ আমার করো না বিচার, ত্রিভূবনের প্রিয় মোহাম্মদ, এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল, মোহাম্মদ নাম যতই জপি, খোদা এই গরিবের শোনো শোনো মুনাজাত, ও মন রমজানেরই রোজার শেষে ইত্যাদি অসংখ্যা ইসলামী গানের যে ভান্ডার নজরুল রেখে গেছেন মুসলিম জাতি পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত তা মনে রাখবে। শুধ তার নিজের ধর্মই নয়। অসাম্প্রদায়িক কবি নজরুল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য রেখে গেছেন তার অসংখ্য সৃষ্টি। ওমা তোর চরণে কি, এবার নবীন মন্ত্রে হবে, এলো নন্দের নন্দন নব ঘনশ্যাম সহ অসংখ্য গান রয়েছে তার সৃষ্টকর্মে। তাছাড়া ভজন, কীর্তন, শ্যামা সঙ্গীতের জন্যতো নজরুল হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবতাতুল্য হয়ে আছেন। তাহলে নজরুল তার নিজ ধর্মের প্রতি শতভাগ ভক্তি শ্রদ্ধা অক্ষুন্ন রেখে অন্য ধর্মের জন্যও যে সৃষ্টি রেখে গেছেন আমরা তাকে অসাম্প্রদায়িক কবি বললে বাড়িয়ে বলা হবে কি?

এখানেই শেষ নয় নজরুলের বহুমুখী প্রতিভা। নজরুল ছিলেন একজন বলিষ্ঠ সাংবাদিক। তার সম্পাদনায় ধুমকেতু,দর্পণসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা বৃটিশ সাম্রাজ্যে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল। নজরুল ছিলেন একজন পেশাদার গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। ভক্ত ধ্রæব, পাতালপুরী, বিদ্যাপতি, গোরাসহ বেশ কয়েকটি ছবিতে তিনি সুনামের সাথে কাজ করেছেন। শুধু তাই নয় কয়েকটি ছবিতে তিনি নিজ কণ্ঠে গান গাওয়াসহ অভিনয়ও করেছেন। তার রচিত নাটক, উপন্যাস,প্রবন্ধ এমনকি বিভিন্ন সভা সমিতিতে তার প্রদত্ত ভাষণগুলোও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। আর গানের কথাতো বলাই বাহুল্য। গান রচনা, সুরারোপ ও স্বরলিপি প্রয়োগে নজরুলের সমকক্ষ কেবলই রবীন্দ্রনাথ। তবে কোথাও কোথাও তাকেও ছাড়িয়ে গেছেন নজরুল। একই সাথে এত বৈচিত্রময় গান, সুর, তাল, ও নতুন রাগের সৃষ্টি আর কোনো সাধক করে যেতে পারেননি। (কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি।)

এত সংক্ষিপ্ত পরিসরে নজরুলের কাব্য প্রতিভা প্রকাশের সাধ্য কারও নেই। শুধু এইটুকু বলে শেষ করতে চাই-জীবনের প্রতিটা পরতে পরতে দারিদ্রের সাথে, দুঃখের সাথে, যন্ত্রণার সাথে লড়াই করে করে  নজরুল যে বৈচিত্রময় প্রতিভার পরিচয় রেখে গেছেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। তাই আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলেন শিশুদের কবি, তারুণ্যের কবি, বিদ্রোহী কবি, প্রেমের কবি, সাম্যের কবি। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন সাংবাদিক, অভিনেতা, সুরকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার। সর্বোপরি তিনি বাংলা সাহিত্য জগতে একজন অনন্য অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষ।

মসজিদের আদব নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা


gmwR‡`i Av`e wb‡q wKQz ¸iæZ¡c~Y© K_v

GBP Avi iv‡mj : gmwR` n‡”Q Avjøvni Ni| gymjgvb‡`i Bev`‡Zi ¯’vb| gnvb Avjøvni mš‘wói Avkvq Rvgvqv‡Zi mv‡_ mvjvZ Av`vq I Ab¨vb¨ agx©q Bev`Z Kivi Rb¨B gymwjøiv gmwR‡` hvb| Avi ZvB Avjøvni Kv‡Q gmwR` me©v‡cÿv wcÖq ¯’vb| KziAvbyj Kwi‡g Avjøvn e‡jb-Ô .... Avi gmwR`¸‡jv †KejgvÎ Avjøvni Rb¨, Kv‡RB †Zvgiv Avjøvni m‡½ Ab¨ KvD‡K †WK bvÕ| ZvB ïaygvÎ Avjøvni mš‘wói Rb¨B gmwR‡` Mgb Kiv cÖwZwU gymjgv‡bi `vwqZ¡| Avjøvn cweÎ ZvB Zvi Bev`‡Zi NiUvI cweÎ| Avi ZvB cweÎ n‡qB gmwR‡` cÖ‡ek Kivi wbqg| G‡Z i‡q‡Q Acwimxg dwRjZ| ivmyj (m) e‡j‡Qb Ô †h e¨w³ evwo †_‡K cvK cweÎ n‡q A_©vr Ihy K‡i †Kv‡bv diR mvjvZ Av`vq Kivi Rb¨ †nu‡U Avjøvni †Kv‡bv N‡i A_©vr †Kv‡bv gmwR‡` hvq Zvi cÖwZwU c`‡ÿ‡c GKwU cvc S‡i c‡o Ges GKwU K‡i gh©v`v e„w× cvq| ïay ZvB bq | gmwR‡` hvIqvi mgq Zvovû‡ov K‡i †h‡ZI eviY K‡i‡Qb bwe Kwig (m)| wZwb e‡jb Ô hLb †Zvgiv GKvgZ ïb‡Z cv‡e, ZLb mvjv‡Zi w`‡K P‡j Avm‡e| †Zvgv‡`i DwPZ w¯’iZv I Mv¤¢xh© Aej¤^b Kiv| Zvovû‡ov Ki‡e bvÕ| gmwR‡` hvIqvi Rb¨ gbw¯’i Kivi ci gymjøx‡`i DwPZ n‡e ZzjbvgyjK cwi®‹vvi I my›`i †cvkvK cwiavb Kiv| †Kbbv G e¨vcv‡iI Avjøvn Zvqvjvi wb‡`©kbv i‡q‡Q| Avjøvn e‡jb Ô †n Av`g mšÍvb cÖ‡Z¨K mvjv‡Zi mgq †Zvgiv mvRm¾v MÖnY KiÕ| A_©vr gqjv wKsev `„wóKUz †hb †Zb Kvco cwiavb K‡i gmwR‡` cÖ‡ek Kiv hv‡e bv| G e¨vcv‡i ivmyjyjøvn (m) e‡j‡Qb Ô †Zvgv‡`i †KD hLb mvjv‡Z `uvov‡e †m †hb (my›`i) †cvkvK cwiavb K‡i...Õ| Ab¨w`‡K gy‡L `yM©Ü wb‡q gmwR‡` cÖ‡ek bv Kivi e¨vcv‡iI cwi®‹vi †NvlYv Av‡Q Bmjv‡g| Ô †h e¨w³ wcuqvR , imyb ev wcuqvR RvZxq mewR Lv‡e  †m †hb Avgvi gmwR‡`i Kv‡QI bv Av‡mÕ| Zvi gv‡b n‡jv gy‡L `yM©Ü nq Ggb Lvevi †hgb wcuqvR,imyb, ZvgvK,g` wKsev `yM©Ühy³ †Kv‡bv wWªsKm BZ¨vw` †L‡q gmwR‡` hvIqv DwPZ bq| Gevi gmwR‡` wM‡qB `yB ivKvZ ZvwnBqvZzj gmwR` bvgvR cov  mybœvZ| G e¨vcv‡i ivmyjyjøvn (m)-Gi ¯úó wb‡`©kbv i‡q‡Q| wZwb e‡jb Ô‡Zvgv‡`i †KD gmwR‡` cÖ‡ek Ki‡j `yB ivKvZ mvjvZ Av`vq Kivi c~‡e© em‡e bvÕ| ZvQvov `ywbqvwe †Kv‡bv K_v ejv, nviv‡bv †Kv‡bv wKQzi †LuvR Kiv, e¨emv I PvKwi msµvšÍ †Kv‡bv Av‡jvPbv Kiv m¤ú~Y©iƒ‡c wb‡la| bwewR e‡jb Ô†Zvgiv gmwR‡`i wfZ‡i †Kv‡bv †jvK‡K µq-weµq Ki‡Z †`L‡j ej‡e Avjøvn †hb †Zvgv‡`i e¨emvq †Kv‡bv jvf cÖ`vb bv K‡ib...Õ| AviI GKwU e¨vcvi Av‡Q| †Kv‡bv gymjøxi bvgvRiZ Ae¯’vq Ab¨ †Kv‡bv gymjøxi mvg‡b w`‡q hvIqvUvI gvivZ¥K Aciva e‡j wcÖq bwe (m) eY©bv K‡i‡Qb| wZwb e‡jb Ô hw` gymjøxi mvg‡b w`‡q MgbKvix e¨w³i Rvbv _vK‡Zv †h Zvi Dci Kx cv‡ci †evSv †P‡c‡Q, Z‡e Pwjøk ch©šÍ `uvwo‡q _vKv‡KI †m cÖvavb¨ w`ZÕ|
Ggwb K‡i Avjøvn I Zvi ivm~j gmwR‡`i m¤§vb I Av`‡ei K_v e‡j‡Qb| wKš‘ AvRKvj Avgiv gmwR‡`i Av`e A‡bKUv ‡R‡b ï‡bB bó KiwQ| gqjv, Qwehy³, †Quvov I kU© Kvci c‡iB P‡j Avwm gmwR‡`| gmwR‡` e‡mB Av‡jvPbv KiwQ ivR‰bwZK, cvwievwiK, e¨emvwqK Av‡jvPbv| D‰”P¯^‡i K_v ejv, kã K‡i nvmv, gymjøx‡`i mvg‡b w`‡q hvIqv Avmv, GgbwK gmwR‡`i wfZ‡i  †gvevBj wiwmf K‡i K_v ejvi g‡Zv Mwn©Z AcivaI KiwQ Avgiv Aejxjvq| Avmyb Avgiv Avjøvni Ni gmwR`‡K Av`‡ei mv‡_ e¨envi Kwi| gmwR‡`i m¤§vb‡K myD‡”P Zz‡j awi|

আমি ফুটবল বলছি!

Avwg dzUej ejwQ!



GBP Avi iv‡mj : ï‡bwQ Avgvi Rb¥ n‡q‡Q Bsj¨v‡Û| Z‡e Avgvi Rb¥`vZv †K Zv Avgvi Rvbv †bB| R‡b¥i ci †Zvgv‡`i Kv‡Q Avwg †hw`b †R‡bwQ Avgvi bvg dzUej †mw`b Avwg Lye Kó †c‡qwQ| GUv †f‡e, †h Avgvi Rb¥ n‡q‡Q †Zvgv‡`i cv‡q c‡o _vKvi Rb¨| †Zvgv‡`i cv‡qB Avgvi ¯’vb| †Zvgv‡`i cv‡qB Avgvi euvPv giv| ïiæ‡ZB ¯ªóv Avgvi cÖwZ weiæc AvPiY K‡i‡Qb| Avgv‡K evwb‡q‡Qb †MvjvKvi Avi gm„Y K‡i| ZvB wbR B”Qvq Pj‡Z cvwi bv Avwg| †bB K_v ejvi fvlv, †bB cÖwZ‡iva Kivi ÿgZvI| ZvB‡Zv †Zvgv‡`i cv‡qi AZ¨vPvi AwZô n‡qI me gyL ey‡R mn¨ Kwi| c„w_ex‡Z Ggb †jvK †evanq cvIqv KwVb †h Avgv‡K GKwU ev‡ii Rb¨I jvw_ †`qwb| Avgvi ey‡K jvw_ †g‡i †Zvgiv Avb›` cvI, KiZvwj `vI, ev`¨ evRvI, Djøvm Ki|
Avgv‡K m„wó K‡i Avgvi ey‡K cÖ_g jvw_Uv Avgvi ¯ªóvB Avgv‡K w`‡q‡Qb| Zvici †_‡K Avgv‡K wb‡q ˆZwi n‡Z _v‡K bvbv †KŠkj| ˆZwi n‡Z _v‡K Avgvi Dci AZ¨vPv‡ii bxjbKkv| †Zvgiv †evW© ewm‡q wm×všÍ wb‡qQ †gvU 22 Rb 2 `‡j wef³ n‡q Avgv‡K AvNvZ Ki‡e| GKwU wekvj gv‡Vi `yB cÖv‡šÍ Avgvi Rb¨ cvZv nq Rvj| Zvici GKRb cwiPvj‡Ki Z_v †idvwii ZË¡veav‡b ïiæ nq Avgvi Dci AZ¨vPv‡ii Db¥y³ cÖwZ‡hvwMZv| cÖ‡Z¨‡Ki Uv‡M©U cÖwZc‡ÿi Rv‡j Avgv‡K cÖ‡ek Kiv‡bv| wKš‘ Avwg Kv‡iv c‡ÿ bB| Dfq c‡ÿi cv‡qi AZ¨vPv‡i Avwg Gw`K †mw`K QzUvQzwU Ki‡Z _vwK| gv‡S gv‡S Amn¨ hš¿bvq QUdU Ki‡Z Ki‡Z gv‡Vi evB‡i P‡j hvB| wKš‘ iÿv cvBbv| †mLvb †_‡KB Zz‡j G‡b Avgv‡K †_ªv-Bb Kiv‡bv nq| †idvwi mv‡ne eoB b¨vq wePviK| GKRb Av‡iKRb‡K av°v w`‡j wKsev Ab¨vqfv‡e jvw_ w`‡j Zv‡`i kvw¯Íi weavb K‡ib| njy` KvW© †`Lvb cÖ‡qvR‡b jvj KvW© †`wL‡q gvV †_‡K †ei K‡i †`b| wKš‘ Zvi †Pv‡Li mvg‡b 22 Rb wg‡j Avgvq jvw_i ci jvw_ gvi‡Qb Zvi Rb¨ †Kv‡bv kvw¯Íi weavb wKsev †Kv‡bv Kv‡W©i e¨e¯’v †idvwi gnvk‡qi Kv‡Q †bB| GKUv mgq Avgvi wb‡Ri ARv‡šÍB †Kv‡bv GK c‡ÿi Rv‡j Rwo‡q hvB Avwg| Avi ZLbB †Zvgiv jv‡Lv gvbyl †Mvj †Mvj e‡j Avb‡›` wPrKvi K‡i I‡Vv| Avwg †h †Mvj Zv †evanq ZLbB †Zvgiv eyS‡Z cv‡iv|  †L‡jvqo‡`i †KD †KD Avevi †Mvj nRg Kivi K‡ó Avgv‡KB Zxeª N„Yvq m‡Rv‡i jvw_ gv‡i| †hb Zvi G †Mvj nRg Kivi Rb¨ AvwgB `vqx! weRqx `‡ji `yGKRb †L‡jvqvo Aek¨ gv‡S gv‡S Avgvq nv‡Z wb‡q Lywk‡Z Pz¤^b K‡i| Avwg ZLb †Pv‡Li R‡j mvšÍ¡bvi myL LyuwR| Gw`‡K †Ljv †k‡l cyi®‹v‡ii KvcUv wb‡q ˆn ûyjø‡i †g‡Z _v‡K weRqx `j| Pz¤^‡bi ci Pz¤^b w`‡q Kv‡ci cÖwZ Zv‡`i fv‡jvevmv cÖKvk K‡i| wKš‘ hv‡K w`‡q GB Kvc AR©b, †mB Avwg dzUej c‡o _vwK gv‡Vi GK †KvYvq Ae‡njvq, Abv`‡i|  †Zvgv‡`i RvZxq Kwe KvRx bRiæ‡ji fvlvq Ô MxZ †k‡l exYv c‡o _v‡K aywj gv‡SÕ| AK…Z‡Ái g‡Zv †Zvgiv Avgvq fz‡j hvI| A_P AvwgB †Zvgv‡`i Rb¨ e‡q Avwb m¤§vb Avi †MŠie | DPuy Kwi †`‡ki gv_v| AvwgB ˆZwi Kwi †c‡j, g¨viv‡Wvbv, wR`vb, e¨vKn¨vg, †gwm, †ivbvj‡`vi g‡Zv ZviKv| mvivwek^ Zv‡`i gv_vq K‡i bvP‡jI Avwg ‡_‡K hvB cv‡qi wb‡PB| A‡bK bvixf³‡K Zv‡`i wcÖq ZviKvi Qwe ey‡K wb‡q Nygv‡Z †`‡LwQ wKš‘ Avgvq Zviv Qzu‡qI †`‡Lwb KL‡bv| GB‡Zv †mw`b gv‡V Abykxjb KiwQ‡jb GK ZviKv †L‡jvqvo| GK bvixf³ wmwKDwiwU †f` K‡i †`Š‡o G‡m †mB †L‡jvqvo‡K Avb‡›` Rvc‡U ai‡jb| KB Avwg‡Zv cv‡kB wQjvg GKevi †Pv‡Li †`LvI †`‡Lwb Avgvq|
‡m hvB †nvK| GZ wKQzi ciI Avwg Avgv‡K wb‡q myLx| Avwg Mwe©Z| †Kb Rv‡bv? Avwg mvivwe‡k^i gvbyl‡K GK myZvq Muv_‡Z cvwi| Avwg `~i K‡i w`B gvby‡l gvby‡l ag© - e‡Y©i †f`v‡f`| Avwg †L‡jvqvomn mKj gvbyl‡K wkÿv w`B k„•Ljv‡eva, wkóvPvi, cvi¯úwiK wek^vm, mgš^qgyjK m¤úK©| wek^Kvc G‡j mviv c„w_ex †g‡Z _v‡K Avgv‡K wb‡q| mviv c„w_exi †KvwU †KvwU DrmyK †PvL Avgvi Dci AvQ‡o c‡i| Avgvi g‡Zv GK ÿz`ª dzUe‡ji Rb¨ Gi †P‡q M‡e©i Avi Gi †P‡q cÖvwßi Avi Kx n‡Z cv‡i! ZvB Avgvi †Kv‡bv `ytL †bB, Kó †bB| ïay †Zvgv‡`i Kv‡Q Aby‡iva †Zvgiv mvivRxeb Avgv‡K †Zvgv‡`i cv‡qi Zjvq †iL| Avgv‡K fv‡jv‡em| †`‡k †`‡k A‡nZzK hy×, gviYv‡¯¿i cÖwZ‡hvwMZv eÜ K‡i †Zvgiv Avgv‡K PP©v K‡iv| Avwg dzUej c„w_ex aŸs‡mi c~e© ch©šÍ †Zvgv‡`i Kv‡Q _vK‡Z PvB|

পত্রিকার ঐ পাতাটি আমাকে বিব্রত করে। একটু ভাববেন কি?


cwÎKvi H cvZvwU Avgv‡K weeªZ K‡i
GKUz fve‡eb wK?

evsjv‡`‡ki Ab¨Zg cÖavb GKwU cwÎKv Avwg †ivR wKwb| Awd‡m cov †k‡l Avwg evmvq wb‡q hvB| Avgvi mšÍvbmn cwiev‡ii Ab¨vb¨ m`m¨‡`i cwÎKv covi cÖwZ fxlY AvMÖn i‡q‡Q| we‡kl K‡i Avgvi `yB mšÍvb Avwg evmvq cÖ‡ek Kiv gvÎB e¨vM †_‡K cwÎKvwU †ei Ki‡e| Zvici cy‡iv cwÎKvwUi Av‡`¨vcvšÍ †PvL eyjv‡e| D‡Ïk¨ hZUvbv covi Zvi PvB‡Z †ewk Qwe †`Lvi| Zv‡`i AvMÖ‡ni welq †Ljvi cvZvq †gwm †ivbvj‡`vi Qwe,Mvwoi Qwe, †gvUi mvB‡K‡ji Qwe, †gvevBj, †Uwjwfkb wKsev wd«‡Ri Qwe, eb¨cÖvwYi Qwe BZ¨vw`| †Kv‡bv KvUz©‡bi Qwe _vK‡j‡Zv K_vB †bB|  Zviv †m¸‡jv Ly‡U Ly‡U †`L‡e Ges Avgv‡K bvbviKg cÖkœev‡b RR©wiZ Ki‡e| Avwg mvaviYZ ivRbxwZ wb‡q gv_v NvgvB bv| mviv‡`‡ki moK `~N©Ubv, Lyb, nZ¨v, al©Y, Lv‡`¨ †fRvj, cÖZviYv BZ¨vw` msev`¸‡jv co‡Z Lvivc jvM‡jI  †m¸‡jv AvMÖn wb‡q cwo| Avi †evSvi †Póv Kwi †Kv_vq hvw”Q Avgiv, Avi K‡e †kvaiv‡ev Avgiv? GQvov ms¯‹…wZi cÖwZ GKUz we‡kl `~e©j nIqvq we‡bv`‡bi cvZvUv‡Z Avwg †PvL eyjvB Lye hZœ K‡i| GKUz mgq wb‡q cwo Mv‡bi Lei, bvU‡Ki Lei, Pjw”P‡Îi Lei, gÂcvovi Lei, Avi Gm‡ei ZviKv‡`i Lei| wKš‘ GB we‡bv`‡bi cvZvwU‡Z G‡mB Avwg Pigfv‡e weeªZ nB| GB cvZvwU‡Z †`k we‡`‡ki we‡bv`‡bi Le‡ii mv‡_ ¯^vfvweKfv‡eB _v‡K SKS‡K Kvjvidzj Qwe| wKš‘ wKQz wKQz Qwe GZUvB AvcwËKi Avi Akøxj _v‡K †h  KL‡bv KL‡bv j¾vq wb‡RB c„ôv D‡ë †dj‡Z eva¨ nB| †`wk ZviKv wKsev we‡`wk hvB †nvK bv †Kb Qwe¸‡jv †cvkv‡Ki w`K †_‡K GZUvB A‡kvfb Avi `„wóKUz _v‡K †h ‡Kv‡bv f`ª‡jvK †mB Qwe‡Z ZvwK‡q _vKvi iæwP †cvlY Ki‡e bv| Avgvi mšÍv‡biv hLb c„ôv Dëv‡Z Dëv‡Z we‡bv`b cvZvq Av‡m Avi hLb GBme KziæwPc~Y© Qwe Zv‡`i bR‡i Av‡m ZLb evev wn‡m‡e Avwg `viæYfv‡e jw¾Z nB| Avjnvg`ywjjøvn Avgvi †Q‡jivI Lye `ªZZvi mv‡_ GB c„ôvwU‡K AwZµg K‡i hvq|  wKš‘ cÖkœ n‡jv †`‡ki  †ewkifvM RvZxq cwÎKvi we‡bv`b cvZvi GBme msev‡`i Pwiθ‡jvi QweUv AkøxjB †Kb n‡Z n‡e? evsjv‡`‡ki †cÖÿvcU I ag©xq †PZbv gv_vq †i‡L kvjxb Qwe w`‡q wK GB wbDRUv Qvcv †hZ bv?  †hgb aiæb †Kv‡bv GKRb bvwqKvi gyw³ cvIqv Qwe `viæb wnU n‡q‡Q, wKsev †Kv‡bv bvwqKv Qwei ïwUs‡q we‡`‡k Ae¯’vb Ki‡Qb| wKsev  †Kv‡bv bvwqKvi we‡q wb‡q ¸Äb Pj‡Q BZ¨vw` msev`¸‡jvi mv‡_ wK Akøxj Qwe †`Iqvi †Kv‡bv eva¨evaKZv Av‡Q? GKB msev` mswkøó †mB bvwqKvi Ab¨ †Kv‡bv kvjxb Qwe w`‡q wK Kvfvi Kiv †hZ bv? Avwg Aek¨B †Kv‡bv bvwqKvi †eviKv cov Qwe we‡bv`b c„ôvq Avkv Kwi bv| Avwg ïay ‡evSv‡Z PvBwQ bvix‡`‡ni we‡kl ¯úk©KvZi A½¸‡jv‡K Aeva cÖ`k©b Kiv Qwe¸‡jv ev` w`‡qI †mB wbDRUv Kiv hvq| Z‡e Avgiv †Kb GUv KiwQ bv ? Z_¨ cÖhyw³i Aeva hvZvqv‡Zi hy‡M ¯§vU©‡dv‡bi nvbvq †hLv‡b ZiæY cÖRb¥ cÖvq ÿwqòzZvi w`‡K avweZ n‡”Q †mLv‡b wcÖ›U wgwWqv wKsev AbjvBb wgwWqvi m¤§vwbZ KZ©„c‡ÿi †Kv‡bv mvgvwRK `vq‡eva _vK‡Z cv‡i bv? cwÎKvi KvUwZ evov‡ZB Kx Avgiv GB A‡kvfb c×wZwU †e‡Q wb‡qwQ? hw` ZvB nq Z‡e Aby‡iva KiwQ Av‡iKevi fveyb KZUzKz †c‡q KZLvwb nvivw”Q Avgiv| Avcbv‡`i GB evowZ Av‡qi A‡_©i PvB‡Z mšÍv‡bi Kv‡Q Avgvi weeªZ nIqvi `vg †h A‡bK †ewk! Avmyb m‡PZb nB, mvgvwRK nB, †`kUv‡K GwM‡q wb‡q hvB my›`‡ii mv‡_ Kj¨v‡Yi c‡_|

যে গানের প্রেরণায় রবীন্দ্রনাথ লিখলেন ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’


†h Mv‡bi ‡cÖiYvq iex›`ªbv_ wjL‡jb
ÔAvgvi †mvbvi evsjv Avwg †Zvgvq fv‡jvevwmÕ


GBP Avi iv‡mj : RvZxq m½xZ GKUv  †`‡ki AvZ¥cwiPq enb K‡i| GKwU †`‡ki K…wó KvjPvi, BwZnvm, iƒc ˆewP·K aviY K‡iB ˆZwi nq †m‡`‡ki RvZxq m½xZ| Avgv‡`iI Av‡Q gb DRvi Kiv mygayi my‡ii GKwU M‡e©i RvZxq m½xZ| Avgiv mevB Rvwb Avgv‡`i wcÖq gvZ…f~wg evsjv‡`‡ki RvZxq m½xZwU Kwe¸iæ iex›`ªbv_ VvKz‡ii †jLv| RvZxi RbK e½eÜz †kL gywReyi ingvb GwU‡K RvZxq m½xZ wn‡m‡e gh©v`v †`b| Avmyb †R‡b wbB RvZxq m½xZwUi m¤ú‡K© AviI wKQz K_v|
Avgv‡`i mevi wcÖq GB RvZxq m½xZwU †jLvi wcQ‡b AL¨vZ GK evD‡ji GKwU Mvb iex›`ªbv_ VvKzi‡K AbycÖvwYZ K‡iwQj|  ejv hvq evD‡ji †mB MvbwU ï‡b Zvi my‡ii gvqvq c‡oB Kwe¸iæ wj‡L †d‡jb Avgvi †mvbvi evsjv MvbwU| AL¨vZ †mB evD‡ji bvg wQj ÔMMbÕ| MMb wQ‡jb †ckvq GKRb WvKwcqb| wKš‘ Zvi wQj AmvaviY MvqKx I †jLbx kw³| iex›`ªbv_ hLb Rwg`vwi †`Lv‡kvbvi cÖ‡qvR‡b wkjvB`n Avm‡Zb ZLb wZwb G evD‡ji ms¯ú‡k© Avm‡Zb Ges Zvi Mvb ïb‡Zb| GKw`b †mB MMb evDj †M‡q †kvbvb Zvi wb‡Ri †jLv I myi Kiv GKwU Mvb | Mv‡bi ïiæUv wQj GgbÔ Avwg †Kv_vq cve Zv‡i Avgvi g‡bi gvbyl †h †i; nviv‡q †mB gvby‡l Zvi D‡Ï‡k  †`k we‡`‡k †eovB Ny‡i; jvwM †mB ü`qkkx m`v cÖvY nq D`vwm; †c‡j gb n‡Zv Lywk †`LZvg bqb f‡i; Avwg †cÖgvb‡j giwQ R¡‡j wbfvB Abj †Kgb K‡i; gwi nvq nvq‡i;Õ | iex›`ªbv_ GB evD‡ji MvbwU‡Z GZUvB gy» n‡qwQ‡jb †h cieZ©x‡Z 1906 mv‡j GB my‡iB Kwe iPbv Ki‡jb Avgvi †mvbvi evsjv MvbwU|
cÖK…wZ‡K gvZ…Ávb K‡i Acwimxg fv‡jvevmv I Avi ggZvi ewntcÖKvk NwU‡q‡Qb Kwe GB Mv‡b| †mB mgq e½f½ we‡ivax ivRbxwZex`, I we‡cøvexiv ev½vwj RbMY‡K †`k‡cÖ‡g DØy× Ki‡Z GB MvbwUi e¨envi Ki‡Zb| hw`I cieZ©x‡Z GB MvbwUi K`i wKQzUv K‡g hvq AvÂwjK ivRbxwZi fvUvq | Z‡e gyw³hy‡×i cÖv°v‡j cybivq GB MvbwUi we¯Ívi N‡U|  1971 mv‡ji 3 Rvbyqvwi XvKvi GK wekvj Rbmfvq I 3 gvP© QvÎjxM I kÖwgK jx‡Mi GK Rbmmfvq e½eÜzi Dcw¯’wZ‡Z MvbwU evRv‡bv nq Ges RvZxq m½xZ wn‡m‡e †NvlYv †`Iqv nq| e½eÜz †kL gywReyi ingv‡bi HwZnvwmK 7 gv‡P©i fvl‡Yi c~‡e©I GB MvbwU MvIqv nq| GB MvbwUi cwimi AviI eo| wKš‘ evsjv‡`‡k GB Mv‡bi 10wU jvBb‡K RvZxq m½xZ wn‡m‡e ¯^xK…wZ †`Iqv n‡q‡Q| MvbwU‡K RvZxq m½xZ wn‡m‡e mvsweavwbKfv‡e ¯^xK…wZ †`Iqv nq ¯^vaxbZvi c‡i| wKš‘ Zvi Av‡M gywRebM‡i evsjv‡`‡ki cÖevmx miKv‡ii kc_ Abyôv‡b GB MvbwU‡K RvZxq m½xZ wn‡m‡e MvIqv nq| gyw³hy‡×i mgqI G MvbwU ¯^vaxb evsjv †eZvi †K›`ª †_‡K cÖPvwiZ n‡q‡Q Ges mgMÖ gyw³Kvgx gvby‡li AšÍ‡i Aby‡cÖiYv hywM‡q‡Q|

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ভাষার জন্য ভাসা ভাসা ভালোবাসা কেন?


ভাষার জন্য ভাসা ভাসা ভালোবাসা কেন?



এইচ আর রাসেল : একুশ এলেই আমরা বড় আবেগী হয়ে উঠি। সারাবছর অযতেœ অবহেলায় পড়ে থাকা শহিদ মিনারগুলোকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করি।  খবরের কাগজ গুলোতে শুরু হয়ে যায় কলাম লেখার ধুম। গল্প,কবিতা আরও কত কী! সভা সেমিনারে বক্তৃতা বিবৃতিতে ব্যাস্ত থাকে সুশীল সমাজ। তারপর একুশের প্রথম প্রহরে শহিদ মিনারের মেঝেতে এক বোঝা ফুল ছিটিয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে বাড়ি ফিরে আসি। ব্যাস আগামী এক বছরের জন্য সে পর্যন্তই শেষ।

এসব আনুষ্ঠানিকতার সামাজিক ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বৈকি। রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে এইটুকু সম্মান পাওয়া এটা তাদের অধিকার। কিন্তু যার জন্য তাদের এই জীবন দেওয়া সেই ভাষার মান কি আমরা রক্ষা করতে পারছি? সেই ভাষাটা কি তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে চলতে পারছে? না পারছে না।  আমরা আমাদের প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া ভাষার মান রক্ষা করতে পারছি না। আমরা পদে পদে নিজ ভাষার প্রতি অবিচার করে যাচ্ছি, অসম্মান করে যাচ্ছি। মাতৃভাষার চরম অবমাননার উৎসবে যেন মেতে উঠেছি আমরা। এমনকি মাতৃভাষার প্রতি আমরা অন্যায় করছি, অবিচার করছি এ বিষয়টাও আমরা বুঝতে পারছি না কিংবা বুঝতে চাইছি না। ফলে  প্রাণপ্রিয় ভাষার প্রতি অবহেলা,অনাদর আর অযতেœর বিষয়টি করে যাচ্ছি অবলীলায়। দেখুন যদি আপনাকেই প্রশ্ন করা হয় আপনার অফিসে আপনি কোন ভাষায় দাপ্তরিক কাজকর্ম কিংবা ফাইলপত্র সম্পন্ন করেন, কোন ভাষায় আবেদন লিখেন, কোন ভাষায় আপনি দস্তখত করেন। তাহলে আপনিসহ ৯৫ ভাগ মানুষের কাছ থেকেই নিশ্চিত উত্তর আসবে ইংরেজি ভাষায়। যদি জিজ্ঞেস করা হয় আপনার ভিজিটিং কার্ডটি কোন ভাষায় ছাপানো। ৯৮ ভাগ লোকের কাছ থেকেই নিশ্চিত উত্তর আসবে ইংরেজি। শহরের অলিগলিতে ছোট বড় সাইনবোর্ড, রাস্তায় সেট করা বড় বড় বিলবোর্ড, মার্কেট কিংবা দোকানের সাইনবোর্ড, বাসা-বাড়ির নামফলকসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যানার ফেস্টুনগুলো কোন ভাষায় লেখা। উত্তর আসবে বেশিরভাগই ইংরেজি ভাষায় লেখা। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনগুলোর ৯৫ ভাগও সেই ইংরেজিতেই লেখা। তাও আবার এমন ইংরেজি যা অন্য কোনো ডাক্তার ছাড়া বোঝার সাধ্য কারো নেই। দোকানের ক্যাশম্যামো, ভাউচার ইত্যাদি বিষয়গুলোর বেশিরভাগই ইংরেজিতে ছাপা হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় এখনো ইংরেজিতেই ছাপা হয়! অনেকের মোবাইলের রিংটোনটাও বিদেশি কোনো মিওজিকের অংশবিশেষ। আমরা কথা বলতে গিয়ে বা বিভিন্ন আলাপচারিতায় অকারণেই ঢুকিয়ে দিচ্ছি ইংরেজি শব্দ। আর নিজেকে বাহবা দিচ্ছি, প্রগতিশীল আর স্মার্ট ভেবে। কিন্তু কেন এসব করছি আমরা? বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন দেখুনতো আমার রক্ত দিয়ে অর্জিত মায়ের ভাষা দিয়ে কি এই কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব নয়? অবশ্যই সম্ভব । প্রয়োজন শুধু ইতিবাচক মানসিকতার। প্রয়োজন নিজের ভাষার প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার। আর এসবের অভাবেই আজ আমরা বাংলার সাথে অদ্ভুত ইংরেজি মিশিয়ে জগাখিচুরির বাংলিশ ভাষা আবিষ্কার করেছি। শুধু ভালোবাসার অভাবেই আজ অনেক বিদেশি শব্দ আমাদের বাংলা ভাষায় স্থায়ী জায়গা নিয়ে নিয়েছে। তাই আজ আমরা বাংলায় ‘বাহ’! কিংবা ‘চমৎকার’ না বলে বলি ‘ওয়াও’। গর্ভধারিনী মাকে ‘মা’ না বলে বলি ‘মম’। জন্মদাতা বাবাকে ‘বাবা’ না বলে বলছি ‘ড্যাড’। এখনতো বোন কিংবা আপুকে বলা হচ্ছে ‘সিস’ আবার ভাইকে বলা হচ্ছে ‘ব্রো’। আপন সন্তানকে আমার সন্তান না বলে বলা হচ্ছে আমার ‘বেবি’। আমি জানি না মা-এর মমত্ববোধ আর ভালোবাসার যে পরশ এই ‘মা’ ডাকে পাওয়া যায় তা ‘মম’ শব্দের মধ্যে আছে কি না। আমি জানিনা আমার সন্তান বলতেই বুকের মধ্যে যে গর্বের ঢেউ খেলে যায় সেই অনুভূতি ‘বেবি’ শব্দের মধ্যে আছে কি না। আজকাল এফএম রেডিওগুলোতে বাংলা ভাষার যাচ্ছেতাই ব্যবহার হচেছ। এসব যেন দেখার কেউ নেই। যেভাবে আমাদের তরুণ সমাজ বাংলা ইংরেজির মিশেলে নতুন ভাষার সৃষ্টি করছে তা প্রকৃতই হতাশার এবং আতংকের । আমাদের সমস্যাটা হচেছ আমরা অন্যের সংস্কৃতি, অন্যের কৃষ্টি কালচারকে গুরুত্ব দিচ্ছি বেশি। আমরা মনে করছি বিদেশী সংস্কৃতির চর্চা করলে, বিদেশি ভাষার ব্যবহার করলে সমাজে আমার অবস্থান উঁচু হয়, নিজেদের প্রগতিশীল ভাবা যায়, নিজেকে অন্যের থেকে আলাদা ভাবা যায়। কিন্তু আসলে কি তা হয়? বরং নিজের মাকে তথা মায়ের ভাষাকে অবজ্ঞা করে অন্যকে বেশি ও অহেতুক গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করছি আর নিজেদের ছোট মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছি । অথচ আমার আপনার মাতৃভাষা বাংলা আজ আন্তর্জাতিক মর্যাদায় ভূষিত।  যেখানে বিশে^র কমবেশি ১৯০টি দেশ আমার মাতৃভাষাকে সম্মান জানিয়ে মাতৃভাষা দিবস পালন করে। যেখানে আমার বাংলা ভাষা জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে সেখানে আমরা অসম্মান করে চলেছি নিজ মাতৃভাষাকে। আমি বিদেশি ভাষা শেখার বিরোধী নই, নিতান্ত প্রয়োজনে ব্যবহারেও আপত্তি করছি না। শুধু মাসীকে ভালোবাসতে গিয়ে নিজের মাকে অবহেলা না করার উপর জোর দিচ্ছি। কারণ মায়ের চেয়ে আপন আর কেউ হতে পারে না।  তাই আসুন ভাসা ভাসা নয় মন থেকেই ভালোবাসি মাতৃভাষাকে নিজ ভাষাতেই মাকে মা বলে ডাকি, নিজ ভাষাতেই হাসি কাঁদি। আর তাতেই হবে শহিদদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন।