১০ই মহররম- মুসলিম ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন
এইচ আর রাসেল
এইচ আর রাসেল
অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনার জন্য মহররম মাসের ১০ তারিখ মুসলিমদের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এ দিনটিকে ইসলামী পরিভাষায় আশুরা বলা হয়। আরবি হিজরি বছরের ১ম এই মাসে ঘটেছিল ইসলামের ইতিহাসের নানাবিধ ঘটনা যা আজও অ¤øান হয়ে আছে। সর্বশেষ কারবালা প্রান্তরে নবীকরিম (স)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা)এর নির্মমভাবে শহিদ হওয়ার ঘটনাটির জন্য এই দিনটি মানুষের অন্তরে স্মরণীয় হয়ে আছে। মহানবি হযরত মোহাম্মদ (স)-এর ওফাতের পর ৬১ হিজরির ১০ই মহররম অত্যাচারি শাসক ইয়াজিদ-এর আক্রোশে তারই নির্দেশে হযরত হোসাইন (রা) কে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ইতিহাসের এ জঘন্য হত্যাকান্ডটিকে মুসলিম জাতি অত্যন্ত বেদনাভরে স্মরণ করে। মুসলামানদের জন্য এ মাসের মর্যাদা অপরিসীম। এক সময় এ মাসে রোজা রাখা হতো। কিন্তু রমজান মাসের রোজা ফরজ হওয়ার পর এ রোজাটি নফলের মর্যাদা পায়। কিন্তু হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী রমজান মাসের ফরজ রোজার পর সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ নফল রোজা হলো এই মহররমের রোজা (জামে তিরমিজি)। এ ব্যাপারে নবি করিম (স) বলেন,‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আল্লাহ পাকের নিকট আমি আশাবাদী যে তিনি এক বছর আগের গোনাহ ক্ষমা করে দিবেন (মসনাদে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ.)। মহররম মাস মুসলিম বিশ্বে এতোটা তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার পেছনে রয়েছে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা।
১০ই মহররমের কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা :
মহররম মাসেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আ) কে সৃষ্টি করেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই মাসেই। এই মাসেই গন্ধম খাওয়ার অপরাধে আদম (আ) কে বেহেশত হতে বের করে দেওয়া হয়। আবার এ মাসেই আদম (আ) ও বিবি হাওয়াকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। এ মাসেই নুহ (আ)-এর প্লাবন বা ঝড় থেকে মুক্তি পেলেন এবং তার জাহাজ তুরস্কের একটি পর্বতে গিয়ে থামল। এ মাসেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হযরত ইব্রাহিম আ. কে জালিম বাদশা নমরুদের নিক্ষিপ্ত অগ্নিকুন্ড থেকে নিরাপদে মুক্ত করলেন। এ মাসেই দীর্ঘ ৪০ দিন পর হযরত ইউনূস (আ) আল্লাহর রহমতে মাছের পেট থেকে মুক্ত হলেন। এ মাসেই হযরত আইয়ুব আ. আঠারো বছর অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগের পর কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্ত হলেন। এ মাসেই নীলনদে দলবলসহ কুখ্যাত ফেরাউনের সলিল সমাধি হয়েছিল আর হযরত মুসা (আ) তার দলবলসহ নিরাপদে নদী পার হয়েছিলেন। হযরত ঈসা (আ)-এর জন্ম হয়েছিল এই মহররম মাসেই এমনকি তাকে আসমানে উঠিয়েও নেওয়া হয় এই মাসেই। এই মাসেই হযরত হযরত ইয়াকুব আ. দীর্ঘ ৪০ বছর পর তার হারানো পুত্র হযরত ইউসুফ (আ) কে খুঁজে পান। এ মাসেই হযরত সোলায়মান আ. ফিরে পেয়েছিলেন তার হারানো রাজত্ব। সর্বশেষ মহরম মাসের ১০ই মহররম হযরত হোসাইন রা.-এর হৃদয়বিদারক পরিণতির কারণে মহররম মাসের তাৎপর্য এতোটা ব্যাপক। বাংলাদেশে যথাযথ ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ দিনটি পালিত হয়। যদিও কিছু কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যক্রমের মাধ্যমে এ দিনটির মর্যাদা ক্ষুণœ করছেন। আল্লাহ সবাইকে মহররম মাসের গুরুত্ব বুঝে আমল করার তৌফিক দিন।
১০ই মহররমের কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা :
মহররম মাসেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আ) কে সৃষ্টি করেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই মাসেই। এই মাসেই গন্ধম খাওয়ার অপরাধে আদম (আ) কে বেহেশত হতে বের করে দেওয়া হয়। আবার এ মাসেই আদম (আ) ও বিবি হাওয়াকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। এ মাসেই নুহ (আ)-এর প্লাবন বা ঝড় থেকে মুক্তি পেলেন এবং তার জাহাজ তুরস্কের একটি পর্বতে গিয়ে থামল। এ মাসেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হযরত ইব্রাহিম আ. কে জালিম বাদশা নমরুদের নিক্ষিপ্ত অগ্নিকুন্ড থেকে নিরাপদে মুক্ত করলেন। এ মাসেই দীর্ঘ ৪০ দিন পর হযরত ইউনূস (আ) আল্লাহর রহমতে মাছের পেট থেকে মুক্ত হলেন। এ মাসেই হযরত আইয়ুব আ. আঠারো বছর অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগের পর কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্ত হলেন। এ মাসেই নীলনদে দলবলসহ কুখ্যাত ফেরাউনের সলিল সমাধি হয়েছিল আর হযরত মুসা (আ) তার দলবলসহ নিরাপদে নদী পার হয়েছিলেন। হযরত ঈসা (আ)-এর জন্ম হয়েছিল এই মহররম মাসেই এমনকি তাকে আসমানে উঠিয়েও নেওয়া হয় এই মাসেই। এই মাসেই হযরত হযরত ইয়াকুব আ. দীর্ঘ ৪০ বছর পর তার হারানো পুত্র হযরত ইউসুফ (আ) কে খুঁজে পান। এ মাসেই হযরত সোলায়মান আ. ফিরে পেয়েছিলেন তার হারানো রাজত্ব। সর্বশেষ মহরম মাসের ১০ই মহররম হযরত হোসাইন রা.-এর হৃদয়বিদারক পরিণতির কারণে মহররম মাসের তাৎপর্য এতোটা ব্যাপক। বাংলাদেশে যথাযথ ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ দিনটি পালিত হয়। যদিও কিছু কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যক্রমের মাধ্যমে এ দিনটির মর্যাদা ক্ষুণœ করছেন। আল্লাহ সবাইকে মহররম মাসের গুরুত্ব বুঝে আমল করার তৌফিক দিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন